একাডেমিয়া পাবলিশিং হাউজ লিমিটেড (এপিএল) প্রকাশিত দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ উপলক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি, রোজ বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্ৰন্থ উন্মোচন মঞ্চে মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
প্রকাশিত নতুন বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অনারারী প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার।
ড. সৈয়দ শহীদ আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর ড. আনোয়ারুল করীম, এনইউবি’র উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, শের-ই-বাংলা: জীবন ও কর্ম গ্রন্থের লেখক প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দীন শিকদার এবং শিল্পকলা সাহিত্য ও ইসলাম গ্রন্থের লেখক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান ।
প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, এ কে ফজলুল হক ছিলেন যথার্থ অর্থে বাংলার কিংবদন্তি জননায়ক। তিনি ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি ও রাজনীতিবিদদের নায়ক। বাংলার গণমানুষের অবিসংবাদিত বর্ষীয়ান জাতীয় নেতা। সমকালীন বিশ্বনেতাদের মধ্যে কামাল পাশা (আতাতুর্ক), লেলিন, মাওসেতুং কিংবা জিন্নাহ-গান্ধীর ন্যায় তিনি জাতির পিতা বলে আখ্যায়িত না হলেও এবং তাঁর পক্ষে কোনো প্রচার, প্রকাশনা, বিলবোর্ড তেমন কিছু না থাকা সত্ত্বেও মৃত্যুর অর্ধশতাব্দী পরেও তিনি স্মরণীয় বরণীয় নেতা, জনগণের মুকুটহীন সম্রাট। এ গ্রন্থটি শোষণহীন সমাজ গঠনে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ড. মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, মুসলমানদের জাগরণের পশ্চাতে রয়েছে শিল্প ও সাহিত্যের বড় ভূমিকা ও অবদান। শিল্পকলা ও সাহিত্যের উন্নয়ন চিন্তা-চেতনার উন্নয়নে এবং ইসলামী জাগরণকে শক্তিশালী করতে বিরাট ভূমিকা রাখে। জাতির নৈতিকতা গঠনে এবং মানবমনে বিশ্বাস স্থাপনে শিল্প ও সাহিত্যের ভূমিকা মুখ্য। মানুষের মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টিতে এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশে শিল্প-সাহিত্যই প্রধান ভূমিকা রাখে। তেমনিভাবে নৈতিকতার অবক্ষয়, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনার বিকাশ এবং অশ্লীলতার সয়লাব ঘটাতেও উভয়ের জুড়ি মেলা ভার। শিল্প ও সাহিত্য হলো দুইধারী তরবারির মতো। তাকে মন্দ কাজে অশ্লীলতার বিকাশে যেমন ব্যবহার করা যায়, তেমনিভাবে মানবকল্যাণে, মানুষের মাঝে সঠিক আকিদা স্থাপনে এবং নৈতিকতা গঠন ও মূল্যবোধ বিকাশেও ব্যবহার করা যায়। এ কারণেই আলিম ও সুশীল সমাজের কর্তব্য হলো উভয়কে সঠিক ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া, যাতে শিল্প ও সাহিত্য সঠিক ইসলামী জাগরণ সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে এবং মানবসমাজে কল্যাণকর অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দীন শিকদার বলেন, ‘শের-ই-বাংলা: জীবন ও কর্ম’ গ্রন্থটি, ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত আবুল কাশেম ফজলুল হক-এর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনালেখ্য। তাঁর সময়কালে (১৮৭৩-১৯৬২) দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং পার্লামেন্টে (১৯১৩-১৬) ও বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণসমূহের মসিচিত্র সংক্ষেপে বিবৃত হয়েছে। প্রায় শতবর্ষ আগে ভারতীয় হিন্দি ও উর্দুভাষী অবাঙালিদের প্রদত্ত খেতাব ‘শের-ই-বাংলা’ উপনামটি মূল নামের সাথে বহুল পরিচিত। প্রায় শতাব্দীব্যাপী কর্মময় জীবনে তিনি যতসব উচ্চপদে সমাসীন ছিলেন, তার মধ্যে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী (১৯২৪), প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-৪৩), কলকাতা করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র (১৯৩৫), অন্যতম জাতীয় নেতা মওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দীসহ গঠিত যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), নিখিল পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫) এবং পূর্ব পাকিস্তানের ১০ম ও প্রথম বাঙালি গভর্নর (১৯৫৬-৫৮)।
তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব (১৯৪০) প্রণয়ন ও পেশের ভূমিকায় ভারতের দুই প্রান্তে দুটো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের তিনি অন্যতম স্থপতি। ভাষা আন্দোলনে তাঁর অসামান্য ভূমিকা (১৯৪৮-৫২) আর দশজনের মতো তিনি শুধু ভাষাসৈনিক ছিলেন না, ক্ষমতাসীন হয়ে তিনি যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক ২১ দফার আলোকে বাংলা ভাষার মর্যাদা বাস্তবায়ন করেছেন (১৯৫৬-৫৮)। বৃটিশ ভারতের ভূমিহীন, ঋণভারে জর্জরিত কোটি কোটি কৃষকপ্রজাদেরকে জমিদার মহাজনদের শোষণ-পীড়ন থেকে রক্ষা করার জন্য গঠিত কৃষকপ্রজা পার্টি ও ঋণসালিশি বোর্ড (১৯১৫-৪৩)-এর তিনি ছিলেন প্রাণপুরুষ। সারা বাংলায় শত শত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠা ছাড়াও তিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা (১৯২১)। ১৯৫৭-৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে, বঙ্গীয় আইন পরিষদে (১৯১৩-৪৪), বিলেতে গোলটেবিল বৈঠকে (১৯৩০-৩৩), মহাত্মা গান্ধীজী, শরৎ বসু ও ব্রিটিশ গভর্নর লর্ড হার্বার্ট-এর সাথে পত্রালাপ (১৯৪৩-৪৪) এবং দেশে-বিদেশে অসংখ্য রাজনৈতিক সভা ও সম্মেলনে তাঁর ভাষণসমূহ জাতির জন্য অমূল্য সম্পদ।’
‘শের-ই-বাংলা: জীবন ও কর্ম’ এর লেখক বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক প্রফেসর মো. মোসলেম উদ্দীন শিকদার উপমহাদেশের অবিসংবাদিত সিংহপুরুষ শের-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হকের (১৮৭৩-১৯৬২) পূর্বপুরুষদের পুণ্যস্মৃতি বিজড়িত ও মরহুম জননায়কের অসংখ্য কীর্তিরাজি শোভিত বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে প্রাচীন মুসলিম অধ্যুষিত ঐতিহাসিক জনপদ চাখার উপশহরের উপকন্ঠে চাউলাকাঠি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত দীনি পরিবারে ১৯৪৭ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। চাখার কলেজকেন্দ্র থেকে ১৯৬২ সালে প্রবেশিকা ও ১৯৬৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত জনাব শিকদার ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে মেধা তালিকায় কৃতিত্বের সাথে এম এ পাশ করেন। কর্মজীবনে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে ১৯৬৯ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত গৌরনদী সরকারি কলেজে, ১৯৯৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত চাখার ফজলুল হক কলেজে এবং ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম কলেজে ইতিহাসে অধ্যাপনা করেন। তিনি ২০০৪-০৫ সালে গৌরনদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। প্রফেসর শিকদার সংকলিত, সম্পাদিত ও অনূদিত প্রায় অর্ধ ডজন পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে।
‘শিল্পকলা, সাহিত্য ও ইসলাম’ গ্রন্থটি প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমানের পিএইচডি থিসিস ‘মাওকিফুল ইসলাম মিনাল ফান্নি ওয়াল আদব’ -এর বঙ্গানুবাদ। লেখক এ গ্রন্থে ইসলামী শিল্পকলা ও সাহিত্যের পরিচিতি, প্রকারভেদ, ধমের্র সাথে সাহিত্য ও শিল্পকলার সম্পর্ক, ইসলামী শিল্পকলার প্রকৃতি ও প্রয়োজনীয়তা, মানবজীবনে শিল্পকলা ও সাহিত্যের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি শিল্পকলা ও সাহিত্যের অনুষঙ্গ তথা মূর্তি, ভাস্কর্য, চিত্রাঙ্কন, আলোকচিত্র, কার্টুন, সংগীত, নৃত্য, অভিনয়, নাটক, সিনেমা এবং কবিতা, গল্প, উপন্যাস, কৌতুক ইত্যাদি বিষয়ে ইসলামের অবস্থান তথা আলিমদের মতামত কুরআন-হাদিসের দলিলসহ তুলে ধরেছেন।
প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, শিল্পকলা ও সাহিত্য বিষয়ে ইসলামী দিকনির্দেশনামূলক এ তথ্যবহুল গ্রন্থটি অনুসন্ধিৎসু পাঠক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বিশেষ উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। এ গ্রন্থটিতে এমন কিছু নতুন তথ্য রয়েছে, যা সাধারণত এ বিষয়ে লিখিত অন্যান্য গ্রন্থে পাওয়া যায় না। আমি এ গ্রন্থ রচনায় ফিকাহশাস্ত্র, নির্ভরযোগ্য তাফসির ও হাদিসগ্রন্থ, বিভিন্ন অভিধান, সাহিত্য ও সমালোচনাগ্রন্থ, ইতিহাস, সীরাত ও বিভিন্ন ফাতওয়া গ্রন্থ হতে তথ্য সংগ্রহ করেছি।
শিল্পকলা, সাহিত্য ও ইসলাম এর লেখক প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান ১৯৫৯ সালের ১ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলার মহিশখালী উপজেলায় বড় মহিশখালী ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ জহির, মায়ের নাম কমল জান। তিনি চট্টগ্রামের ‘আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া’ পটিয়া থেকে ১৯৭৭ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন। অতঃপর ১৯৭৮ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে ‘আত্তাখাস্সুস ফিল্ ফিক্হিল ইসলামী’ বা ইসলামী ফিকাহ বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ নিয়ে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দাওয়া ও উসুলুদ্দিন কলেজে’ ভর্তি হন। ১৯৮৩ সালে তিনি উক্ত কলেজ হতে প্রথম শ্রেণিতে লিসান্স ডিগ্রি অর্জন করেন। অতঃপর সৌদি আরবভিত্তিক ‘রাবিতাতুল আলম আল ইসলামি’র দাঈ হিসেবে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ হতে এম এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৪ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ায় আরবি ভাষা ও সাহিত্যের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৬ সালে প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান অধ্যাপনার পাশাপাশি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন। ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা, সুন্নাতে রাসূল (স): অনুসরণের রূপরেখা, কালিমায়ে তাওহিদের শিক্ষা ও দাবি, ইসলামে হালাল-হারাম, শিল্পকলা সাহিত্য ও ইসলাম, ইসলামী শরিয়তের বাস্তবায়ন, উপেক্ষা ও উগ্রতার বেড়াজালে ইসলামী জাগরণ, অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে যাকাতের ভূমিকা, নামায পুনরাবিষ্কার, ইসলামী সমাজবিল্পবে যুবসমাজের ভুমিকা, ইসলাম আগামীর সভ্যতা, ইসলামের বিজয় অবশ্যম্ভাবী, কমিউনিকেটিভ অ্যারাবিক, মাওকিফুল ইসলাম মিনাল ফান্নি ওয়াল আদাব ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগ হতে প্রকাশিত ফতাওয়া ও মাসাইল, ইলমে হাদিস ও সামাজিক বিজ্ঞান, হানাফী ফিকাহ’র ইতিহাস ও দর্শন গ্রন্থগুলোর তিনি লেখক। এছাড়াও তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন হতে প্রকাশিত মুসনাদে আহমদ হাদিসগ্রন্থের অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন। তিনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠপুস্তক বোর্ড হতে প্রকাশিত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের লেখক এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড হতে প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণির আরবি গ্রামার ও নবম-দশম শ্রেণির আরবি গ্রামারের সম্পাদক। এ পর্যন্ত আরবি ও বাংলা ভাষায় তাঁর প্রায় ত্রিশটি প্রবন্ধ বিভিন্ন গবেষণা পত্রিকা, একাডেমিক জার্নাল ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সাল থেকে সৃজনশীল একাডেমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের সিলেবাস সংশ্লিষ্ট বই প্রকাশ করে আসছে। বইমেলায় এপিএল এর স্টল নং ১৭৬। অমর একুশে বইমেলা ২০২৪ উপলক্ষে এই দুটিসহ মোট ১১টি নতুন বই প্রকাশ করেছে এপিএল।