প্রফেসর ড. ওমর হাসান কাসুলি সিনিয়র উগান্ডার ম্যাকরেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথে স্নাতকোত্তর ও মহামারীবিদ্যায় (এপিডেমোলোজি) ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া উগান্ডার কাম্পালার বিলাল ইন্সটিটিউট থেকে আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজেও ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি ।

 

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হিসেবে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয়ক একটি কোর্সে পাঠদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। একইসাথে ম্যাসাচুসেটস এর বোস্টনের হার্ভার্ড ডানা ফারবার ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে ক্যান্সারের ক্লিনিকাল ট্রায়াল এবং ইস্টার্ণ কো-অপারেটিভ অনকোলজি গ্রুপের (ইসিওজি) ক্যান্সার মহামারী সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণে গবেষণা করেছেন।

 

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যের ক্লিনিকাল মহামারী মান নিশ্চিতকরণে পরামর্শকের ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করেন।

 

১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়া-তে মেডিসিন ফ্যাকাল্টির অধ্যাপক, গবেষণা ও স্নাতকোত্তর বিষয়ক উপ-ডীন এবং আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নালের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

 

এরপর তিনি ব্রুনাই দারুসসালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির অধ্যাপক হিসেবে স্নাতক পর্যায়ে মহামারী, জৈব-পরিসংখ্যান ও মেডিকেল এথিক্স বিষয়সমূহ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণা পদ্ধতি ও প্রমাণনির্ভর স্বাস্থ্যনীতি ও অনুশীলন বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।

 

২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি রিয়াদের কিং ফাহাদ মেডিকেল সিটিতে মেডিসিন ফ্যাকাল্টির অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব কর্মরত। এছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিঃপরীক্ষক ও পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

 

অধ্যাপনার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক নেতৃত্বের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনায় তিনি অসংখ্য দেশে ভ্রমণ করেছেন। বহু ভাষায় পারদর্শী ড. কাসুলি পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে বিশেষ করে আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সমন্বিত মেডিকেল কারিকুলাম তৈরি ও অন্তর্ভুক্তিতে মৌলিক অবদান রেখেছেন।

 

২০০৮ সাল থেকে তিনি তার চিকিৎসাবিদ্যার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয় ও বিভাগসমূহে ইসলামি এপিস্টেমোলোজি, কারিকুলাম সংস্কার এবং শিক্ষায় ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি চিহ্নিত ও সমন্বিতকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সারা পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন হাসপাতালে ও মেডিসিন অনুষদে ইসলামী চিকিৎসাশাস্ত্র এবং চিকিৎসাবিদ্যার অনুশীলনে পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি।